আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটি ফোনালাপ ফাঁসের জেরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে তার পদ থেকে চূড়ান্তভাবে সরিয়ে দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে তার ওই বিতর্কিত ফোনালাপ থাইল্যান্ডের জাতীয় স্বার্থবিরোধী ছিল বলে মনে করছে আদালত।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই রায় ঘোষণা করা হয়, যার ফলে মাত্র এক বছর পার হতেই ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য ও দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ওই ফোনকলে পেতোংতার্নকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ (চাচা) বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়। এ সময় তিনি দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেন এবং তার সেনাদের কারণেই কম্বোডিয়ার এক সেনার প্রাণ গেছে বলে দুঃখপ্রকাশ করেন। এমনকি তিনি হুন সেনকে বলেন, “আপনার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন, আমি বিষয়টি দেখব।”
দুই দেশের সীমান্তে যখন চরম উত্তেজনা চলছিল এবং থাইল্যান্ডে জাতীয়তাবাদী настроения তুঙ্গে, ঠিক তখনই এই ফোনালাপ ফাঁস হয়। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তোলে, পেতোংতার্ন দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গোপনে কম্বোডিয়ার সঙ্গে আঁতাত করছেন।
যদিও পেতোংতার্ন দাবি করেছিলেন, তিনি উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল হিসেবেই এমনভাবে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তার এই ব্যাখ্যা ধোপে টেকেনি। তীব্র সমালোচনার মুখে গত ১ জুলাই সাংবিধানিক আদালত তার প্রধানমন্ত্রীর পদ স্থগিত করে। অবশেষে আজ, শুক্রবার, তাকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হলো।
এই ফোনালাপ ফাঁসের কয়েক মাস পরেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘাত বেঁধেছিল, যা পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণে আসে।