আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।

তিনি বলেন, রুশ তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা গেলে মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা সম্ভব হবে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আল জাজিরা।

বেসেন্ট জানান, ওয়াশিংটন ও ইউরোপ একসঙ্গে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। তিনি বলেন, “এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেনীয় সেনারা কতদিন টিকে থাকতে পারবে আর রুশ অর্থনীতি কতদিন টিকে থাকতে পারবে।”

তার মতে, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং রুশ তেল ক্রেতাদের ওপর দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক আরোপ করলে রাশিয়ার অর্থনীতি পুরোপুরি ধসে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা যাবে।

এদিকে গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপগুলোর একটি।

অন্যদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর এবারই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হন এবং কিয়েভের একটি সরকারি ভবনে আগুন লাগে।

মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “মস্কো যুদ্ধ শেষের বদলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়ে কিয়েভের মন্ত্রিসভার দপ্তরে আঘাত হেনেছে।”

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।

এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউ কেউ এখনো রুশ তেল ও গ্যাস কিনছে, যা ন্যায়সঙ্গত নয়। এসব দেশের ওপর শুল্ক বসানোই সঠিক পদক্ষেপ।”