অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। সাত সন্তানের জননী এক নারীকে ধর্ষণের পর বিয়ের দাবি জানালে তাকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামির বাবা রোকন মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা রোকন মিয়ার ছেলে একরামুল হক (২৫) নওপাড়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার ওই নারীর আত্মীয়তার সূত্রে পরিচিত হন। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে একরামুল হক নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং পরে শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে একরামুল তার আত্মীয়ের বাড়ির বৈঠকখানায় ডেকে নিয়ে ওই নারীকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত আবারও পরিকল্পনা করে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একরামুল ওই নারীকে কেন্দুয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে আসতে বলে। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর তাকে রিকশাযোগে ছিলিমপুর গ্রামের আওয়াল খানের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী বিয়ের দাবি জানালে একরামুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে একরামুলের বাবা রোকন মিয়াও মারধরে অংশ নেন। পরে স্থানীয়রা এসে অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রাতেই কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একরামুল হককে প্রধান আসামি করা হয় এবং সহযোগী আসামি করা হয় তার বাবা রোকন মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের রুহুল আমিনকে (৪০)।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী ৭ সন্তানের জননী। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার রোকন মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।