টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, “যারা হঠকারিতা করছেন, তাদের সাবধান করছি—শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে এক করে ফেলবেন না। আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, যাতে লাঠি বা অন্য কোনো শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন না হয়। কিন্তু যেদিন আমরা রাস্তায় নামবো, সেদিন লাঠি নয়, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না।”
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবন ‘সোনার বাংলাতে’ কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জয়বাংলা থাকবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও থাকবেন। আমরা অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যে আশা ও ভরসা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম, আজ তা ধূলিসাৎ হতে চলেছে। আমার নিজের বাড়ির ওপর আঘাত এসেছে, তাই কিছু বলাটা কষ্টকর। কিন্তু যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধেই আঘাত, তাই আমি চুপ থাকতে পারি না।”
১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে! এটা একটি লজ্জাজনক রেকর্ড হয়ে রইল। মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হতে চেয়েছিল, অথচ প্রশাসন সেটিও বন্ধ করেছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আর আমি মরার ভয় করি না। আমি চাই দেশে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় থাকুক। যে দেশকে আমরা মুক্ত করেছি, সে দেশের মানুষ যেন সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে। আমি যা খুশি তা করতে পারি না, আর করবও না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আমি করবই। কঠিন সময় সামনে আসছে, তোমাদের রাস্তায় নামতে হবে। শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই, তবে সেই শক্তি হতে হবে নিয়ন্ত্রিত। অনিয়ন্ত্রিত শক্তির কোনো মূল্য নেই। ন্যায়ের পক্ষে সবসময় আল্লাহ থাকেন। পাকিস্তানিদের অস্ত্র ও শক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল, তবুও আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম।”
এ সময় আরও বক্তব্য দেন যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল, বীরপ্রতীক ফজলুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি রাহাত হাসান টিপু এবং সখীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।