কেকে কন্যার কথায় চোখে জল নেটিজেনদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : “তোমায় সারা জীবন ভালোবাসব বাবা।” একটা ছোট্ট বাক্য। আর তাতেই মিশে গিয়েছে সদ্য় পিতৃহারা এক মেয়ের কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রণা। অকালে বাবাকে হারানোর গুমড়ে ওঠা কান্না। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মেয়ে তামারার বাবার উদ্দেশে এই ছোট্ট বার্তা চোখে জল এনে দিয়েছে সবার।

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে কেকে-র শেষকৃত্য। সেই ভেন্যু ও সময় জানিয়ে একটি কার্ড ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তামারা। সেখানেই বাবাকে স্মরণ করেছেন চিরন্তন ভালোবাসার এক ছোট্ট বার্তায়। বুধবার বিকালের বিমানে কলকাতা থেকে মুম্বই পৌঁছয় কেকে-র নশ্বর দেহ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি, ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের অন্য ঘনিষ্ঠরা।

মঙ্গরবার সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে শো-এর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কেকে-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। কেকে-র অকাল প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান আপামর সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ। শোকস্তব্ধ পরিবারও। এরপর বুধবার সকালের উড়ানেই মুম্বই থেকে কলকাতায় পৌঁছন কেকে-র পরিজনরা। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যান এসএসকেএম-এ। সেখানেই প্রয়াত গায়কের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর সেখান থেকে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ ।

রবীন্দ্রসদনেই গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত গায়ককে। রবীন্দ্রসদন চত্বরে তখন চিরঘুমে শায়িত কফিবন্দি কেকে। প্রিয়তমের কফিনের উপর পুষ্পস্তবক রাখতে এসে ডুকরে কেঁদে উঠতে দেখা যায় জ্য়োতি কুনাথকে। টিনএজ সুইটহার্ট থেকে বিয়ে, দীর্ঘদিনের ‘ইয়ারোঁ’কে হারিয়ে চোখের জল বাঁধ মানছিল না জ্যোতির। বাবার কফিনে পুষ্পস্তবক রাখতে এসে কাঁচ দিয়ে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে দেখা যায় ছেলেকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *