টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে তিনি শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (৮ জুন) বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় জাতীয় পার্টির মোজাম্মেল হক গ্রুপ ও আসু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে বর্ধিত সভাস্থলে প্রবেশ এবং স্থান দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। জেলা প্রেসক্লাবের হল রুমে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানায়, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেমসহ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সভাস্থলে পৌঁছালে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক গ্রুপের অনুসারীরা অপর গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। ছুরিকাঘাত করা হয় সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর সামনেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ছুরিকাঘাতে আহত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক ও এমপি আবুল কাশেম বলেন, “সকাল থেকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক তার কর্মীদের দিয়ে প্রেসক্লাবের সিঁড়ি দখল করে রাখে। সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সার্কিট হাউজে রিসিভ করে সভাস্থলে যাওয়ার সময় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় উঠলে আমার ওপর হামলা করে।
এক পর্যায়ে মোজ্জাম্মেল হকের কর্মী ছুরি দিয়ে আঘাত করে আমার পোশাক ছিড়ে ফেলে। অন্য একজনের পাঞ্জাবী নিয়ে সভাস্থলে বসলে শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে দেখে ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি। দলীয় নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তাই মেনে নেবো।”
বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি মজিবুল হক চুন্নু বলেন, “এ ধরনের কিছু ঘটেনি। ঘটলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অন্যান্যরা।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।