হোয়াইট ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরে অস্থায়ী ১০টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত ১৭ মে জেলা প্রশাসন বরাবর চিঠি দেয়। কিন্তু ২৫ দিন পার হলেও এখনও অনুমোদন মেলেনি। ফলে নগরে অতিরিক্ত হাট বসানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চসিক কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসন পশুর হাট বসানোর বিষয়ে মতামত চেয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কাছে গত ২৬ মে একটি চিঠি দেয়। পুলিশের চিঠিরও এখনো মতামত মেলেনি।
চসিক সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর করোনার কারণে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পশুর হাট বেশি বসানোর অনুমতি চেয়েও পায়নি চসিক। এবার করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় দ্বিগুণ হাট বসানোর অনুমতি চায় সিটি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবছর কোরবানি ঈদের আগের ১০ দিন নগরে পশুর হাটগুলো বসে। চলতি বছরের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তাই এবারও জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১৩টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কতগুলো হাট বসবে তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে জেলা প্রশাসন।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে পশুর হাটের চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে অস্থায়ী ১০টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
অস্থায়ী ১০টির মধ্যে কয়টির অনুমোদন পাওয়া যায় তার ওপর নির্ভর করছে এবারের পশুর হাট। জেলা প্রশাসন নগর পুলিশের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এখন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। আমাদেরকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে সেগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
জানা যায়, নগরে চসিক ১০টি অস্থায়ী বাজার বসাতে চায়। এর মধ্যে আছে, কর্ণফুলী গরুবাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন, স্টিলমিল বাজার, পতেঙ্গা চসিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়), ৪১ নম্বর ওর্য়াডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ধুমপাড়া আউটার রিং রোডের পূর্ব পাশে খালি জায়গার মাঠ, চৌধুরীহাট রেলস্টেশন বাজার, আমানবাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ী রেলক্রসিং সংলগ্ন বালুর মাঠ ও কালুরঘাট সেতুর উত্তর পাশের মাঠ। এছাড়া চসিকের তিনটি স্থায়ী বাজার আছে। এগুলো হলো সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তার পাড় ছাগলের হাট।