অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রামে বাসে তুলে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার মধ্যরাতে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, ভূজপুর থানার দাতমারা ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. রবিউল হক (২৪), একই থানার উত্তর জুসখোলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহজাহান (২২) ও বাঁশখালী থানার বাণীগ্রাম গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩২)। এদের মধ্যে নুরুল আলম চালক এবং রবিউল ও শাহজাহান হেলপার। অন্য আসামি রাজু পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই গৃহবধূ নগরের ডবলমুরিং এলাকায় থাকেন। গত শনিবার স্বামীকে নিয়ে দেওয়ানহাট এলাকায় একটি জুতা কিনতে যান। সেখানে দোকানদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে মারধর করেন দোকানদার।

দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে ওইদিন বিকেলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ছিন্নমূল ১নং সমাজ এলাকায় চাচার সঙ্গে পরামর্শ করতে যান। চাচা আদালতের মুন্সী। পরদিন রোববার সেখান থেকে মামলা করতে আদালতে যেতে অক্সিজেন মোড়ে আসেন তিনি। এসময় রাস্তায় থাকা বাস হেলপার ও চালক কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ওই গৃহবধূ আদালতে যাবেন বললে তাকে উঠতে বলেন। বাসে আর কোনো যাত্রী ছিল না। বাসে উঠতেই দরজা বন্ধ করে রবিউল ও রাজু মিলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বাস থেকে নেমে অক্সিজেন মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টমেট্রো-জ-১১-০১৬৯ বাসটি জব্দ করা হয়। অন্য আসামীরা পালিয়ে যান। পরে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের শনাক্ত করে রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ও ফটিকছড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গৃহবধূর স্বামী চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজুকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *