আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০ জনে পৌঁছেছে। তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বুধবার (২২ জুন) ভোররাতে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকার সময় আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আঘাত হানে প্রবল এই ভূমিকম্প। পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার এবং ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯ রেকর্ড করেছে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে এবং কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৪ কিলোমিটার গভীরে।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছেন, ভূমিকম্পে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে পূর্ব আফগান প্রদেশ পাকতিকায়। সেখানে অন্তত ২৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। এছাড়া খোস্ত প্রদেশে ২৫ জন মারা গেছেন এবং ৯০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে ভূমিকম্প

ছবি : সংগৃহীত

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ কিছু গ্রাম প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। সেখানকার বিস্তারিত খবর জোগাড় করতে সময় লাগবে।

তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আহতদের কাছে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসা সামগ্রী ও খাবার নিয়ে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়েছে।

ভিডিও দেখুন

ভোররাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানায় সেসময় ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া বাড়িঘরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান অনেকে।

আফগানিস্তান খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে দেশটিতে ভূমিকম্পে সাত হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভূমিকম্পে প্রতি বছর আফগানিস্তানে গড়ে ৫৬০ জন মারা যান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *