অনলাইন ডেস্কঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুর অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে আসছিলেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলাট প্রান্তিক কৃষকরা। কিন্তু এরই মধ্যে এসব গরুর শরীরে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন রোগ। এ অবস্থায় আক্রান্ত গরু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলার সর্বত্র রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকরা আতঙ্কে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শত শত গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে উপজেলার সান্দিকোনা ও বলাইশিমুল ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে সান্দিকোনা ইউনিয়নের সান্দিকোনা, ডাউকী, পূবাটি, গগডী, বেলাটি, হরিগাতি, মাইজহাটী, চরক্ষিদিরপুরসহ আশপাশের অনেক গ্রামে এবং বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দারা ও কবিচন্দ্রপুর গ্রামসহ ইউনিয়নটির প্রায় প্রতিটি গ্রামের গরুর শরীরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সান্দিকোনা ইউনিয়নের পূবাটি গ্রামের নূর মুহাম্মদ নয়ন বলেন, আমার চাচার একটি ষাঁড় গরুর পুরো শরীরে হঠাৎ করে গুটি দেখা দেয় এবং পুঁজের মতো হয়। শরীরে কাঁপুনি ও যন্ত্রণায় খাওয়া ছেড়ে দেয় আক্রান্ত গরুটি। পরে পশু ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান এটি লাম্পি স্কিন রোগ।
এ বিষয়ে বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর চন্দ্র তালুকদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কিছু দিন ধরে উপজেলার সর্বত্রই এই রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এন্টিবায়েটিক ওষুধের পাশাপাশি প্রতিদিন ড্রেসিং করতে আমরা আক্রান্ত গরুর মালিককে পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া প্রত্যেকটা গ্রামে আমাদের টিম কাজ করছে। আশা করি এই রোগটি অল্প দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।