রাজবাড়ী থেকে শহিদুল ইসলাম : রাজবাড়ীর কালুখালীতে ৮মামলার ন্যায়বিচারের দাবীতে লিপি খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত সোমবার( ৪ জুলাই) বিকেলে কালুখালী উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, ন্যায় বিচারের দাবীতে বহু মামলা করেছি কিন্তু কেউ তার জন্য ন্যায় বিচার করেন না। নিজ স্বামী সাইদুর রহমান সাবুর নামে ৮ টি মামলা করেছেন বলে তিনি দাবী করেন। কিন্তু এসব মামলায় ন্যায় বিচার পাচ্ছে না এমন দাবী ওই নারীর।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার পাটবাড়ীয় গ্রামের বাসিন্দা লিপি খাতুন জানায়,সে ৫ম শ্রেনী পাশ । তার বাবার নাম আব্দুর রহিম শেখ। সে শ্রমিকের কাজ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিপি খাতুন জানায়, সে স্বরাষ্ট মন্ত্রী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ২য় আমলী আদালত, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত,পারিবারিক জর্জ আদালত সহ বহু জায়গায় বিচারের জন্য ধর্না দিয়েছি,কিন্তু ন্যায় বিচার পাইনি।

অল্প লেখাপড়া জানা মেয়ে কিভাবে এতো দপ্তরে এতোসব অভিযোগ দায়ের করলো এমন প্রশ্নের জবাবে লিপি খাতুন জানায়, জুলফিকার ভাই করিয়ে দিয়েছে। সব তার হুকুমেই করেছি। সে আমাকে খুব ভালোবাসে। লিপি খাতুন জানায়,জুলফিকার মামলার বুদ্ধি প্রদানের কাজ ছাড়াও তাকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনের পর মুঠোফোনে কথা হয় লিপি খাতুনের কথিত স্বামী সাইদুর রহমান সাবুর সাথে। সে জানায়,লিপি ২০২১ সালে আমার বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় প্রতারনা অভিযোগ দায়ের করে। পরে আমাদের মাঝে আপোষ হয়ে যায়। লিপি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ওই আপোসের হলফনামা তৈরি করে থানায় প্রদান করে।এসময় জুলফিকার আলী আমার বাবার নিকট ১ লক্ষ টাকা চায়। বাবা টাকা না দেওয়ায় সে পুনরায় লিপি খাতুনকে দিয়ে আমার নামে ৮ টি মামলা দায়ের করেছে।

এব্যাপারে জুলফিকার আলীকে জিজ্ঞাসার জন্য ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। জুলফিকার আলীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, ছোট বেলা থেকে জুলফিকার টাউট প্রকৃতির।

সে সমাজের নষ্টা মেয়েদের সহযোগীতা নিয়ে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে আসামীদের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে।