রাজবাড়ী প্রতিনিধি : প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সঙ্গে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে।

পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও লক্ষ্য করা গেছে। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকলেও নেই কোনো ভোগান্তি। স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষজন কর্মস্থলে ফিরতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভিড় করছে। তারা বিভিন্ন যানবাহনে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে সরাসরি ফেরির নাগাল পাচ্ছে। ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের তেমন চাপ না থাকায় ফেরিগুলোও ঘাটে অলস সময় পার করছে।

ফেরিগুলো ঘাটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ ফেরি পার হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পারছে।

৬ নং ফেরিঘাটে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক রাশিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এবারই প্রথম ঈদের আগে ও পরে ঘাট পার হতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। গতবছরও ঈদের সময় ফেরি পার হতে ১২/১৪ ঘণ্টা মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট একদম ফাঁকা।

ট্রাকচালক রফিক মণ্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াত করি। এমনও সময় গেছে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘাট এলাকায় ২/৩ দিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু এখন ফেরির জন্য ঘাটে অপেক্ষা করতে হয় না, ফেরি যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করে।

ঢাকাগামী মোটরসাইকেল আরোহী মিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদ শেষ করে এখন কর্মস্থলে ফিরছি। ঘাট পর্যন্ত আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। সড়ক ফাঁকা ছিল। আবার ঘাটে এসে দেখি ফেরি দাঁড়িয়ে আছে। এবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তির হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে ঘাট এলাকায় চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। বর্তমানে এই রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।