মূল্যস্ফীতি কমাতে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়: ভারত পারলে আমরাও পারব

নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি সংকট কাটাতে প্রয়োজনে রুশ মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধ করে দেশটি থেকে তেল কেনার বিষয়টি দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কিনতে পারলে আমরা কেন পারব না, আমরাও রাশিয়া থেকে তেল আনতে পারব। এই বিষয়ে তিনি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির জন্য জ্বালানি তেল দায়ী।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন নোরা ফাতেহি….

ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ দেশটিকে আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বের করে দিয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। এর ফলে ক্রেতাদের তেলের মূল্য রুশ মুদ্রায় পরিশোধ করতে বলে ক্রেমলিন। এরপর থেকে ভারত-চীনসহ রুশ তেলের ভোক্তা দেশগুলো রুবলে মূল্য পরিশোধ করছে। রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি দাম বেড়েছে অনেক। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারত অনেক স্বস্তায় রাশিয়ার তেল কিনছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ রাশিয়ার থেকেও বাংলাদেশ একইভাবে তেল কিনে উপকৃত হোক সেটা চান প্রধানমন্ত্রী। একনেকের বৈঠকে সে বিষয়টিই দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে নানা ধরনের পথ বের করতে বলেছেন। দরকার হয় রুশ মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বলেছেন। খাদ্যখাতে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী সেচের কাজ সোলারে নিয়ে যেতে বলেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, রাজধানীর উত্তরায় ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন। এমন ঘটনা কেন ঘটল, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদার ও পরামর্শকদের কাছে জানতে চেয়েছেন।