অনলাইন ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ চরফ্যাশনের ৪টি ও লালমোহনের ২টি ট্রলারের সন্ধান এখনো মেলেনি। ওইসব ট্রলারে অন্তত ৭০ জন জেলে ছিলেন বলে জানিয়েছে মৎস্যবিভাগ। তিন দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেই আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবারগুলো।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে বিরতির পর আন্দোলনে চা শ্রমিকরা
এদিকে লালমোহনে ৪ ট্রলারের ৫৬ জেলে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা গণমাধ্যমকে বলেন, সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে যেসব ট্রলার ও জেলে নিখোঁজ হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের ৫ টিম সাগরে অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে সকাল থেকেই আবহাওয়া রৌদ্রকরোজ্জ্বাল। নদী শান্ত রয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে উপকূলে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ ট্রলারের জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।এদিকে ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওয়াদার জানান, আমাদের ২টি ট্রলার নিখোঁজ ছিল, শনিবার সেগুলোর সন্ধান মিলেছে। তবে ৮ আগস্ট ইউসুফ মাঝির ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জেলে। ১৩ দিনেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
চর কুকরি-মুকরি চোয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, এখনও একটি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি, সেই ট্রলারে ১৪/১৫ জন জেলে ছিল।
ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো রবিবার সকাল থেকে অভিযানে রয়েছে কোস্টগার্ড। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো জেলে উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজ জেলেরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে কেস্টগার্ড।