নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে সোহাগ হত্যা মামলায় জসিম উদ্দিন (২৬) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন সদর থানার হয়বতপুর চৌরি গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে। নিহত সোহাগ মিয়া একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট বিকেলে কে বা কারা সোহাগ মিয়াকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে লোকমুখে সোহাগের স্বজনরা জানতে পারেন, সদর থানার লক্ষ্মীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জনৈক দরবেশ আলীর পুকুর পাড়ে একটি আম গাছের নিচে সোহাগে রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে সেহাগের মা সাজেদা বেগম ও তার চাচা আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান।
সেখানে গিয়ে সোহাগ মিয়ার পেটের নাড়িভুড়ি বের করে দেওয়া রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তাদের ধারণা, সোহাগের বন্ধু মহলের কেউ পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় সোহাগের বাবা সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক আকরামুল ইসলাম তদন্ত শেষে সোহাগ মিয়ার বন্ধু জসিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ চার বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিতের আদেশ দেন । এ সময় জসিম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।