অনলাইন ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে যে নিয়মিত পথগুলো রয়েছে, তা সব শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ভারত থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করে। এ কারণে এ পথ দিয়ে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ সীমিত। সেই প্রেক্ষাপটে বেশি বেশি পণ্য পরিবহন ও বাংলাদেশ, ভারত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেঘালয়ে যেতে রাস্তা চায় প্রতিবেশী দেশ ভারত। আরও পডুনঃ আজ থেকে শুরু এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বাংলাদেশের বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আমরা খুব বেশি পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ দেখতে পাই না। বেশিরভাগ সংযোগই উত্তর-দক্ষিণ। ফলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উৎপাদন কেন্দ্র এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাজারের সঙ্গে সংযোগ করবে হিলি থেকে মেহেন্দ্রাগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়ক প্রকল্প প্রস্তাব। এটি এখন সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এটি খুবই ব্যয়বহুল প্রকল্প হতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পে যমুনা নদীর ওপর একটি ১৩ কিলোমিটারের লম্বা সেতু নির্মাণ করতে হবে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল। আমাদের নেতারা এ বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রারম্ভিক বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরটি খুবই সফল হয়েছে। করোনার কারণে গত তিন বছর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর কিছুটা ধীরগতি পেয়েছিল। তবে সহযোগিতা আগের মতোই শক্তিশালী ছিল ।