নেপালে নতুন ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : ছেলে কিংবা মেয়ে- বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাফল্য নেই বহু বছর। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্যের জয়গান গাইছে এই মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৮ সাফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল মারিয়া মান্দা-মনিকা চাকমাদের চোখ ধাঁধানো ফুটবলেই। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সিনিয়র সাফে এবার ইতিহাস নতুন করে লেখার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ভারত ও ভুটানকে একই ছন্দে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা মঞ্চে পা রাখা সাবিনাদের আত্মবিশ্বাস অনেক তুঙ্গে।

তবে বাংলাদেশের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাচটা তাদের খেলতে হবে স্বাগতিক নেপালের উঠানে। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালার গ্যালারি আজ পরিপূর্ণ থাকবে বাইরে থেকে স্বাগতিকদের সাহস জোগাতে। তবে বড় কথা হলো সাবিনারা ভয় পাচ্ছেন না। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা খেলেছেন ভয়ডরহীন ফুটবল। আজো সেই আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে তারা চাইবেন ৯০ মিনিটের এই যুদ্ধ জিততে।

গতকাল ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘নেপালের বিপক্ষে অতীতে জিততে পারিনি। বিগত দিনে কী হয়েছে, না হয়েছে- তা নিয়ে ভাবছি না। ভারতের সঙ্গে আগে কখনোই জিতিনি। এবার কিন্তু তাদের হারিয়েছি। কাল (আজ) আরেকটি দিন। যদি মেয়েরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, আমার বিশ্বাস- নেপালের মাটিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশ সাফল্য পেতে কতটা মরিয়া, তা বাংলাদেশ কোচের কথাতেই ফুটে উঠেছে, ‘এই দলটি দীর্ঘদিন একসঙ্গে আছে। কঠোর পরিশ্রম করছে। আপনারা জানেন খেলার জন্য পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন তারা বাফুফে ভবনে আবাসিক ক্যাম্পে আছে। মেয়েদের যে মনোবল, একাগ্রতা, ইচ্ছাশক্তি ও বোঝাপড়া- এগুলো বড় শক্তি। ভালো ফুটবল খেলব ও জিতব। একটি আবেগ পূরণের দিন কাল (আজ)। আমরা লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি।’

দল সম্পর্কে কোচের কথা, ‘মানসিক ও শারীরিকভাবে দলের প্রত্যেকে ফিট। নেপাল শক্তিশালী দল হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ দেখবেন দর্শকরা।’

গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সেমিফাইনালে প্রায় সাড়ে সাত হাজার দর্শক পেয়েছিল নেপাল দল। ফাইনালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে দ্বিগুণ। ফুটবলপাগল নেপালিরা আজ যে পুরো সময় গলা ফাটাবেন, তা অনুমেয়ই। তবে এটা নিয়ে বিচলিত নন বাংলাদেশ কোচ, ‘ফাইনালে ১৫ হাজার দর্শক আসবেন, যারা কিনা নেপালের হয়ে স্লোগান তুলবেন। কিছুটা কঠিন এত দর্শকের সামনে খেলা। এক্ষেত্রে নেপাল সুবিধা পাবে। তবে আমাদের সঙ্গে আছে ১৮ কোটি মানুষ। তারা উপভোগ্য ম্যাচ দেখবে।’

অধিনায়ক সাবিনার কথা, ‘আমি সতীর্থদের একটি কথাই বলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। তারা এখন বড় হয়েছে। এখন গেম ধরতেও পারে।’