অনলাইন ডেস্কঃ  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সাগর ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইছে। আমাবস্যার কারণে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে সৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্ক করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও বীচ কর্মীরা। সৈকতে পর্যটকদের গোসল করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙনে এক স্কুল ভবন বিলীন, আরেকটি ঝুলছে

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানান , ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে উপকূলে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার কথা বলেছেন আবহাওয়া অফিস।

বঙ্গোপসাগরের সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি কিংবা নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে। সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের সাথে পর্যটকবাহী জাহাজ সহ নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ের আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে উপকূলের মানুষের আশ্রয় নেয়ার জন্য ৫৮৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৮৬ টি মেডিকেল টিম এবং ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত  সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। আজ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন থেকে একটি জাহাজে করে তাদেরকে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন সকাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যটন সেল মো আবু সুফিয়ান জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে।