স্পোর্টস ডেস্কঃ ম্যাচের ভেন্যু ও তারিখ আগেই নির্ধারিত ছিল। টিকেটও বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তার পরও অজানা এক কারণে, ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানায় আর্জেন্টিনা। যে কারণে কোন প্রকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়াই ভেস্তে গেল সুপার ক্লাসিকো। ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই দ্বৈরথ থেকে বঞ্চিত হয়ে, যেমন হতাশ দর্শকরা, তেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন আয়োজকেরাও।
সুপার ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল ১১ জুন। এজন্য ৬০ হাজার টিকিট তো আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, কথার লড়াইটাও ছিল সমানে। তবে সব উত্তেজনায় পানি ঢেলে, মাঠেই গড়াল না এই সুপার ক্লাসিকো।
ম্যাচ কেন খেলবে না- এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি আর্জেন্টিনা। ফলে দর্শকরা যেমন হতাশ, তেমনি বড় বিপত্তিতে পড়তে হয় আয়োজকদের। ম্যাচ বাতিলের কারণে ফেরত দিতে হয় টিকেটের টাকা। আর চুক্তি অনুযায়ী না খেলায়, আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের ওপর চটেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা, ‘আমি জানি ব্রাজিল খুবই হতাশ। এটা তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। এটা এমন একটি খেলা, যা কিনা প্রচণ্ড জনপ্রিয় মেলবোর্নে। আয়োজকেরা দর্শকদের টিকেটের পুরো টাকাই ফেরত দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি, ম্যাচটি এভাবে কেন বাতিল করা হলো, সে সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য তারা। আমি এমন একটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে বেশ সতর্ক থাকব যারা এভাবে চুক্তি বাতিল করে।’
এ নিয়ে ৯ মাসের ব্যবধানে, দুটি সুপার ক্লাসিকো থেকে বঞ্চিত হলো ফুটবল বিশ্ব। এর আগে, কোভিড প্রোটোকল ভাঙার কারণে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ না খেলেই ব্রাজিল থেকে ফেরত আসতে হয় লিওনেল মেসিদের।
বাছাইপর্বের সে ম্যাচ বাদেই দুই দলই জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। অবশ্য তার পরও সে ম্যাচ আয়োজনে বদ্ধপরিকর ফিফা। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর মাস দুয়েক আগে নির্ধারিত করা হয়েছে সূচি-ও। তবে সে ম্যাচ নিয়েও আপত্তি আকাশী-নীল শিবিরের। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ম্যাচ বাতিল হওয়াতে, পূর্ণ ৩ পয়েন্ট দাবি তাদের। অন্যদিকে, রোমাঞ্চকর এ লড়াই আয়োজনে পিছপা হতে চাইছে না ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও। সে ম্যাচ মাঠে না গড়ালে, লাতিন এ দুই পরাশক্তিকে মাঠে দেখতে অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত।