সাভার থেকে তাশরীফের কাছে যাচ্ছে ডিপজলের সহায়তা

সাভার প্রতিনিধি : সিলেটে বন্যায় বানভাসিদের দুর্দশায় সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে সঞ্চার হয়েছে মানবতার। আর এই মানবতাবোধ থেকেই সহৃদয়বান ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বানভাসিদের জন্য কাজ করে চলেছেন অনেকেই। তাদের কাছেই সারা দেশের মানুষ পাঠাচ্ছেন সহায়তা। তেমনি সাভার থেকেও ট্রাকে ট্রাকে সহায়তা পাঠাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে ডিপজল ট্রাকে করে এসব ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছেন সিলেটে বানভাসিদের কোটি টাকার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া শিল্পী তাশরীফ খানের কাছে। এসব সহায়তা আজ তার হাতে পৌঁছার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কণ্ঠশিল্পী তাশরীফ খাঁন ফেসবুকে লাইভ করে সহায়তা সংগ্রহ করে তা বানভাসিদের মাঝে নিখুঁতভাবে বিতরণ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল তাশরীফের কাছে চিড়া, মুড়ি, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিস্কুট পাঠিয়েছেন।

মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, এর আগেও আমি এক দফা পাঠিয়েছি। এখন দ্বিতীয় দফায় পাঠাচ্ছি। তৃতীয় দফাও যাবে আগামীকাল অথবা পরশু। চেষ্টা করছি অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানির সঙ্গে তো যুদ্ধ করে কেউ থাকতে পারে না। এই পানি প্রবেশ করায় আমাদের নিরীহ মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। ভারত কিংবা চীন, যে দেশ থেকেই পানি প্রবেশ করছে তাতে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা। প্রভাবশালী যারা আছেন চেষ্টা করবেন কিছু করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য। আমার দোয়া এবং ভালোবাসা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমি পাঠাচ্ছি ৩ হাজার বোতল পানি, ১০ হাজার কেজি চিড়া, ৭ হাজার কেজি মুড়ি ও ৪ হাজার প্যাকেট বিস্কুট সামগ্রী। সিলেটে আমার লোক রয়েছে। এসব সহায়তা তার কাছেই যাবে। কণ্ঠশিল্পী তাশরীফের কাছে গিয়ে এসব জমা হবে। সেখান থেকে তিনি নিখুঁতভাবে এসব বিতরণ করবেন। যা তিনি বিগত দিনেও করে আসছেন। এ ছাড়া আগামীকাল (শুক্রবার) অথবা শনিবার আরও এক দফা খাদ্যসামগ্রী তাশরীফের কাছে পাঠানো হবে।

এদিকে সিলেটের ১১ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ ফুট পানি কমলেও মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। বাড়িঘর বন্যায় বিধ্বস্ত হওয়া সবাই তাদের বসতঘর স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রেই সব ধরনের সহযোগিতা পাবেন।

সারা দেশ থেকে আসা ত্রাণ সহায়তাসহ সরকারের পক্ষ থেকেও দুর্গত মানুষদের সহায়তা প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যাপরবর্তী রোগ-বালাই মোকাবিলাতেও সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *