অনলাইন ডেস্কঃ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে ঘৃণা বেড়েছে। দিল্লির রামলীলা ময়দানে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের সমাবেশের মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব নিয়ে ভয়ে রয়েছে। এই বিষয়গুলোই তাদের ঘৃণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি ও আরএসএস দেশকে ভাগ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাহুল। খবর এনডিটিভির।আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২৮০ ছাড়াল

রাহুলের আগে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন ঊধ্বর্তন নেতা ভাষণ দেন। রাহুল এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ফের কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিমানবন্দর, বন্দর কিংবা রাস্তা- সবকিছুই দুই ব্যক্তি দখল করে নিচ্ছে। সরকার থেকে যাবতীয় সুবিধা নিচ্ছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ হলো দু’জনকে সুবিধা করে দেওয়া। কিন্তু কংগ্রেসের আদর্শ হলো দেশের অগ্রগতি সবার আগে। তিনি বলেছেন, এই দেশ দু’জনের নয়; শ্রমিক, কৃষক এবং বেকার যুবকদের।মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে রাহুল বলেন, এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি দেশ আগে কখনও দেখেনি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সমস্যায় রয়েছে। তা সে মুদ্রাস্ম্ফীতি, বেকারত্ব কিংবা চিনের সঙ্গে সংঘাত- বিরোধীদের এসব বিষয় সংসদে তোলার অনুমতি নেই। ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মোদি। তিনি দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন- অভিযোগ করে বলেন রাহুল। তবে এর থেকে লাভবান হচ্ছে চীন ও পাকিস্তান।

রাহুল বলেন, গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কংগ্রেস কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ৩৫০০ কিমি ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করবে কংগ্রেস। সেই যাত্রার আগে এ সমাবেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় চালের দাম, বেকারত্ব সমস্যা যেমন তুলে ধরা হবে; অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক সম্পীতিরও প্রচার করা হবে। কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রাকে দলের সর্বকালের বৃহত্তম গণসংযোগ কর্মসূচি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তৃণমূল স্তরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, এ যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকারের মিথ্যা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অপব্যবহার সম্পর্কে জানাতে চায়। এদিনে জনসভার পর আবার নতুন করে রাহুলকেই দলের সভাপতি করার দাবি তুলবেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। এমনটাই জানা গেছে দলীয় সূত্রে।