প্রাচীন কৃষ্ণচূড়া ভেঙে পড়ল সেলুনে, নরসুন্দরের মৃত্যু
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় প্রাচীন একটি কৃষ্ণচূড়া গাছচাপায় টিনের চালাঘরের একটি সেলুন বিধ্বস্ত এবং ওই সেলুনের মালিক নরসুন্দর নিরঞ্জন চন্দ্র দাস (৩৫) নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের থুরী কুঠের বাজারে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নিরঞ্জন উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের খাসিমারা গ্রামের নরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে
স্থানীয়রা জানান, নরসুন্দর নিরঞ্জন চন্দ্র দাস বিয়ের পর থেকে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয় থুরী কুঠের বাজারে রাস্তার পাশে একটি অস্থায়ী টিনের চালাঘর তুলে সেখানে সেলুন দিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তাঁর।
প্রতিদিনের মতো আজো সকালে সেলুন খুলে একজন গ্রাহকের চুল কাটার কাজ করছিলেন নিরঞ্জন। এ সময় আরো দু-তিনজন গ্রাহক তাঁর সেলুনে বসে ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর সেলুনের পাশে থাকা প্রাচীন বিশাল আকৃতির একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আকস্মিক ভেঙে পড়ার শব্দে সেলুনে থাকা তিনজন লোক দ্রুত দৌড়ে বের হতে পারলেও গাছটি সেলুনের ওপর উপড়ে পড়ে সেলুনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নিরঞ্জন। স্থানীয়রা গাছের নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অনেক পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছটি ভেঙে পড়ার সময় কোনো ঝড়-বৃষ্টি ছিল না। গাছচাপায় টিনের ঘরটি ভেঙে গেছে। ঘটনার পরপর গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন নিরঞ্জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে তাঁর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে নিরঞ্জনের অসহায় পরিবারকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।