অনলাইন ডেস্কঃ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ভোলা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাহাজে করে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।আরও পড়ুনঃসরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতারে পূর্বানুমতির রায় স্থগিতই থাকবে
দাম বৃদ্ধি করে হলেও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা জানান।আজ রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে বিসিআই আয়োজিত ‘শিল্প খাতে জ্বালানি সংকটের প্রভাব প্রশমন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, বর্তমান স্পট মার্কেটের দরে আগামী ছয় মাস যদি ২০০ এমএমসিএফ গ্যাস আমদানি করি, ততে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজির চেয়ে অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এই পরিমাণ ডলার বিনিয়োগের মতো অবস্থানে সরকার নেই।
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটা আমরা কেউই জানি না। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিল্পে গ্যাস বাড়ানো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে কয়লাভিত্তিক কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। তখন বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আমরা কিছু গ্যাস শিল্পে দিতে পারবো। এরপরও যদি পরিস্থিতি উন্নতির দিকে না যায়, তখন আমরা প্রয়োজনে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার দিকে যেতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিকেএমইএ সহ সভাপতি আকতার হোসেন অপূর্ব এবং বিসিআই ও এফসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ।
সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন জ্বালানি সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে উপস্থাপনা দেন।