অনলাইন ডেস্ক: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে লুট হওয়া সাদাপাথর উদ্ধারের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষে সংক্ষিপ্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করলে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলাগঞ্জ থেকে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার ব্যক্তি অবৈধভাবে সাদাপাথর লুট করেছে। খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং বিধিমালা ২০১২ এর ৯৩(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১৫ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ৫ আগস্ট থেকে অচেনা ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ব্যক্তি ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে বিপুল পরিমাণ সাদাপাথর চুরি করেছে।
আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণের হিসাব করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে আছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন), সঙ্গে রয়েছেন বুয়েটের একজন অধ্যাপক। ইতিমধ্যে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হলেও সম্পূর্ণ তালিকা ও উদ্ধারকাজ এখনও শেষ হয়নি।
রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “এটি খুবই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন। আদালতের চারটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার কোনোটিই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করে ২২ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ভোলাগঞ্জে পাথর লুটের খবর প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেয়।
